এওয়ার্ড

Association of Workers for Alternative Rural Development- AWARD

সর্বশেষ:

প্রতিবেদন

বার্ষিক প্রতিবেদন
২০১৬
(জানুয়ারী-ডিসেম্বর)

এওয়ার্ড

এসোসিয়েশেন অব ওয়ার্কার্স ফর অল্টারনেটিভ রুরাল ডেভেলপমেন্ট
বাড়ী # ১৯, রোড # ৩৮, ব্লক-সি, শাহজালাল উপশহর, সিলেট।

পটভূমি ঃ
এওয়ার্ড একটি অলাভজনক ও অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবি উন্নয়ন সংগঠন। এ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা মুক্তি যুদ্ধের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। তৎকালীন পার্বত্য চট্রগ্রামের মাষ্টার কলোনীতে বসবাসরত রাঙ্গামাটি সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। ১৯৭০ সালে ঐ সময়ের তুখোড় ছাত্র নেতা জনাব ছাবের আহম্মদ আছগরির প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্রগ্রামে ছাত্রলীগের সূচনা হয়। রাঙ্গামাটি সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের জি এস নির্বাচিত হন ১৯৭১ সালে কাজী মোঃ আবুল কালাম আজাদ এবং ঐ সুবাদেই শহর ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। অতঃপর তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু গৌতম দেওয়ান তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিদ্ধান্তনুযায়ী বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের দায়িত্ব গ্রহনে অপারগতা প্রকাশ করায় কাজী আজাদকেই জেলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়। এভাবেই মুক্তিযুদ্ধের সাথে তার সংশ্লিষ্টতা।
মুক্তিযোদ্ধা অথবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত ব্যক্তিবর্গই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ার ব্রতকে সামনে রেখেই সরকারের পাশাপাশি পুনঃর্বাসনের কাজে আত্ম নিয়োগ করেছিলেন কতিপয় ব্যক্তিত্ব। সময়ের ব্যবধানে তা-ই বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিও নামে এ দেশে পরিচিতি লাভ করে। এনজিও গুলোর লক্ষ্য হচেছ – যে সকল বেড়াজালে দরিদ্ররা আবদ্ধ সেখান থেকে তাদেরকে মুক্ত করা, দরিদ্রদের অবস্থান বিশ্লেষনপূর্বক তাদের সুপ্ত সম্ভাবনা জাগ্রত ও প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে সক্ষম করে গড়ে তোলা, নিষ্ক্রিয় প্রজা থেকে সক্রিয় নাগরিকে রূপান্তরিত করা। উপরোক্ত ধারণা পোষন করেই ১৯৯৭ ইংরেজীতে সিলেটের বিভিন্ন থানার কয়েকজন সমাজসেবীর উদ্যোগে এবং জনাব কে.এম.এ কে আজাদ এর নেতৃত্বে এওয়ার্ড প্রতিষ্ঠা লাভ করে। একটি সামাজিক আন্দোলন রচনার নিরিখে উক্ত সংগঠন তৃণমূল জন সংগঠন বিনির্মানের কার্যক্রমকে সংগঠনের মৌলিক কাজ হিসাবে বিবেচনা করে। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে কর্মরত অন্যান্য সেচ্ছাসেবী সংগঠন সাধারণত দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য যে সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে তাতে সামগ্রিক উন্নয়ন কতটা সাধিত হয়েছে তা একটি বিবেচ্য বিষয় বলে এওয়ার্ড মনে করে।
সংস্থার লক্ষ্য ঃ
অজ্ঞতা, অন্যায্যতা এবং অধিকারহীনতার ফসলই হচ্ছে দারিদ্রতা। তাই দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিতদের সংগঠন তৈরীর মাধ্যমে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে উদ্ধুদ্ধ করা ছাড়া বিকল্প নেই বলেই আমাদের ধারণা। স্থানীয় সম্পদে ভূমিহীন কৃষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার প্রসার, মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিচর্যা, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পরিবেশ উন্নয়ন তরান্নিত করে একটি সুখী সমৃদ্ধ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এছাড়া ও সংখ্যালঘু উপজাতীয়/ আদিবাসি সম্প্রদায়ের ও প্রতিবন্ধীদের সার্বিক উন্নয়নে বিশেষ বিশেষ কর্মসূচী গ্রহণ করা। সুনির্দৃষ্ট ভাবে

সংস্থার লক্ষ্য উপস্থাপন করা হল ঃ-
* দরিদ্রদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।
* স্থানীয় সম্পদে ভূমিহীন ও পেশাজীবীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সহযোগিতা করা।
* সংখ্যালঘূ আদিবাসিদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা করা।
* প্রতিবন্ধীদেরকে উন্নয়নের মূলস্রোত ধারায় সম্পৃক্ত ও পুনঃর্বাসনে সহযোগিতা করা।
* কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে পারিবারিক আয় বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করা।
* শিক্ষার প্রসার তথা নিরক্ষরতা দূর করা।
* প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা শিক্ষা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা।
* নিরাপদ পানি ও প্রয়প্রণালী সম্পর্কে সচেতন করা।
* পরিবেশ উন্নয়ন ও সামাজিক বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী গ্রহণ করা।
* প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণ ও পূর্নবাসন কাজে উদ্বুদ্ধ করা।
* গনসাংস্কৃতিক বিকাশ ও গণতান্ত্রিক চর্চা এবং মহিলাদের ক্ষমতায়ন করা ইত্যাদি।

সংস্থার সাংগঠনিক কাঠামো ঃ

এওয়ার্ড-এর একুশ (২১) সদস্য বিশিষ্ট একটি সাধারণ পরিষদ রয়েছে। উক্ত সাধারণ পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত ৭ (সাত) সদস্য বিশিষ্ট একটি কার্য নির্বাহী পরিষদ গঠিত হয়। কার্যনির্বাহী পরিষদে এমন পেশাজীবীদের অংশ গ্রহণ রয়েছে যারা ক্রমবর্ধমান চাহিদার আলোকে প্রকল্প/কর্মসূচী গ্রহনে সক্ষমতা রাখেন। এছাড়াও কার্যনির্বাহী পরিষদকে উন্নয়নের ক্রমবিকাশের ধারায় প্রভাবিত করার জন্য ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়।

বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ ঃ

ক্রঃনং         নাম                                     পদবী               শিক্ষাগত যোগ্যতা              পেশা
১  জনাব লুৎফুল কবির (মাসুক)     চেয়ারম্যান                      বি.কম                        ব্যবসা
২ জনাব নাজনিন হোসেন              ভাইস চেয়ারম্যান            এম এ                      প্রা:সার্ভিস
৩ জনাব কাজীমোঃ আবুল কালাম আজাদ  জেনারেল সেক্রেটারী বি.এ (সম্মান) এম.এ সমাজ সেবা
৪  জনাব হুমায়ুন ইসলাম কামাল  ট্রেজারার                           বি এ                      প্রা:সার্ভিস
৫ জনাব তুতিউর রহমান                   সদস্য                           বি এ                      প্রা:সার্ভিস
৬ জনাব এম এ নূর হীরা                   সদস্য                    এইচ এস সি                   ব্যবসা
৭ শেখ শোমা জামান                         সদস্য                      এসএসসি                   প্রা:সার্ভিস

সংস্থার নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্যঃ

০১ .  সমাজ সেবা অধিদপ্তর সিল-৫৩০/৯৮,       তারিখ-০৬/০৫/১৯৯৮
০২ . এনজিও বিষয়ক ব্যুরো ১৫৯০,                   তারিখ-২৯/১১/২০০০
০৩.  এম আর এ ০০৭৫৪,                                  তারিখ-১৫/১২/২০১৪

চলমান কার্যক্রম ঃ
ক্রনং প্রকল্পের নাম মেয়াদ কার্যক্রম বাৎসরিক বাজেট দাতা সংস্থা
১.  এএমসি
(এওয়ার্ড মাইক্রো ক্রেডিট কর্মসূচী) চলমান

– গ্রাম সংগঠন তৈরী।
– সঞ্চয়ী মনোভাব গড়ে তোলা।
– মানবিক ও পেশাগত উন্নয়ন বৃদ্ধি-মূলক প্রশিক্ষণ।
– খাসজমি ও জলাশয় চিহ্নিত করন ও রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদান।
– আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ঋণ বিতরণ।
– নার্সারী উন্নয়ন।
– বয়স্ক শিক্ষা।
– গণ সংস্কৃতির বিকাশ।
৯৬০০০০০ দাতা সংস্থার ঘূর্ণায়মান ঋণ তহবিল সহ সংস্থার নিজস্ব তহবিল দ্বারা পরিচালিত

০১) এওয়ার্ড মাইক্রোক্রেডিট কর্মসূচী – এএমসি ঃ
সিলেট ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভেলপমেন্ট নেটওর্য়াক (এস এল আর ডি এন) এর মাধ্যমে আর্থিক সহায়তাকারী সংস্থা প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় পরিচালিত প্রকল্পটি ১৯৯৮ ইংরেজীর জুলাই মাস থেকে যাত্রা শুরু করে। ২০০০ সালে সিডিএস উক্ত ঋন কর্মসূচীতে আর্থিক সহায়তা করায় কর্মসূচীর কলেবর বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে এ প্রকল্পটি ঘুর্ণয়মান ঋন তহবিলের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম গুলো হচ্ছে:

০১ (ক) সঞ্চয়ী মনোভাব গড়ে তোলা ঃ-
দারিদ্রতার কারণে অত্র এলাকার বেশীর ভাগ মানুষই সঞ্চয় করার ইচ্ছা পোষন করে না। সংগঠন তৈরীর পর সংগঠিত দরিদ্র্্েরর মাঝে সঞ্চয়ী মনোভাব গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। সপ্তাহিক সঞ্চয়ের পরিমান সদস্যরাই নির্ধারন করেন। ২০১৬ সালে মোট সঞ্চয় আদায় করা হয়েছে ১৮৬৯০৭৮ টাকা। এবং ঐ একই সময়ে সঞ্চয় চহিবামাত্র ফেরত দেয়া হয়েছে ১৬১৪৯৩৯ টাকা। ক্রমপুঞ্জিভুত সঞ্চয়ের পরিমান ৪২৫৭৫২৯টাকা।

সংগঠন সক্রিয় ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সঞ্চয় একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে বলে আমাদের বিশ্বাস।

০১ (খ) মানবিক ও পেশাগত উন্নয়ন বৃদ্ধি মূলক প্রশিক্ষণ ঃ-
যেহেতু মানবিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করাই এওয়ার্ডের মৌলিক কার্যক্রমের অন্যতম একটি কার্যক্রম। সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত মানুষ দারিদ্রতার প্রবল চাপে স্বীয় অস্থিত্ব ও আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। দরিদ্র মানুষের মাঝে আত্ম বিশ্বাস সৃষ্টির লক্ষ্যে মানবিক উন্নয়ন মূলক প্রশিক্ষণ একটি প্রাণীদান যোগ্য কার্যক্রম। এওয়ার্ড ২০১৬ সালে মোট ৩৯০ জন সংগঠন সদস্যকে উপর্যূক্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। এখানে উল্লেখ যোগ্য এ পর্যন্ত ১৫২০ জনকে মানবিক উন্নয়ন মূলক প্রশিক্ষন প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে সংগঠন ও উন্নয়ন বিষয়ে ৮৯৫ জনকে নেতৃত্ব বিকাশ বিষয়ে ৩৭৫ জনকে এবং দলীয় হিসাব সংরক্ষণ বিষয়ে ২৫০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষন প্রাপ্ত সদস্যগণ এওয়ার্ড থেকে প্রাপ্ত প্রশিক্ষণ তাদের নিজ নিজ সংগঠন সদস্যদের মাঝে পৌছিয়ে দেয়ার জন্য অঙ্গিকারা বদ্ধ।

০১ (গ) খাসজমি ও জলাশয় চিহ্নিতকরণ ও রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহযোগিতা প্রদান ঃ-
ইহা একটি অতীব স্পর্শকাতর বিষয় যা শুধুমাত্র সরকারী সিদ্ধান্ত আকারে গৃহীত হলেই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তার জন্য প্রয়োজন গোটা সমাজের চেতনার বিকাশ ও দরিদ্রদের শক্তিশালী সংগঠন, সর্বোপরি সরকারী সদইচ্ছা এবং স্থানীয় সরকারের কার্যকর সহযোগিতা। এওয়ার্ড একটি স্থানীয় সংগঠন হিসাবে এ বিষয়ে যথাযথ ভূমিকা পালনের জন্য দৃঢ় প্রত্যয়ী। এওয়ার্ড এর কর্ম এলাকা সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা একটি ভূসম্পদে সমৃদ্ধ অঞ্চল। কিন্তু এখানে ভূমিহীন এবং ভূস্বামীরা সরকারী খাস জমি একটি অযৌক্তিক সমঝোতার মাধ্যমে ভোগ দখল করে আসছে। যেখানে শুধু মাত্র ভূমিহীনদের মাঝে খাস জমি বিতরণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে বিরাট প্রতিবন্ধকতা বিদ্যমান।

০১ (ঘ) আত্মকর্ম সংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ঋণ বিতরণ ঃ
দারিদ্র বিমোচনের উদ্দেশ্যে আত্মকর্ম সংস্থান সৃষ্টি করাই এ কর্মসূচীর প্রধান লক্ষ্য। কর্ম সংস্থান সৃষ্টি করার মত পুঁজি সাধারণ গরীব মানুষের নেই বললেই চলে। কায়িকশ্রম বিক্রি করে জীবন ধারণ করার মতো সুযোগ আমাদের সমাজে অত্যান্ত অপ্রতুল। পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, বৎসরের বেশীর ভাগ সময়ই কর্মজীবী দরিদ্র মানুষকে বেকার হিসাবে দিন কাটাতে হয়। এহেন বেকারত্ব দারিদ্রতা বৃদ্ধি করে দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থার বিপর্যয় সাধন করে সার্বিক উন্নয়নে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। এ অচল অবস্থার নিরসন কল্পে এওয়ার্ড ঘূর্ণায়মান ঋণ তহবিল হতে ২০১৬ সালে মোট ৭৮৭৫০০০টাকা ৪৫০ জন সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করেছে। এখানে উল্লেখ্য এ পর্যন্ত এওয়ার্ড মোট ৭,৪২,২২৮০০ টাকা ঋন তিরণ ও ৬,৯১,৩৭০৭৮ টাকা ঋন আদায় করেছে।
ঋন আদায়ের গড় হার ৯৮.৫। এখানে উল্লেখ্য এম আর এ এর লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের এ সংক্রান্ত আদেশ জারী করার সাথে সাথে সংস্থার পক্ষ যথাযত ভাবে কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন পেশ করা হয়েছিল কিন্তু কর্তৃপক্ষ এওয়ার্ড এর সকল কাগজপত্র / চিটিপত্র যথাযত ভাবে ফাইলিং না করার কারণে সনদ প্রাপ্তিতে প্রায় ৭ বছর বিলম্ভ ঘটে। এ বিলম্ভের কারণে সংস্থার পক্ষ থেকে যেমন ঝুকি নিয়ে ঋন কর্মসুচীকে চাহিদানুযায়ী বেগবান করা যায়নি তেমনি সনদ প্রাপ্তির পর উন্নয়ন সংগঠন সমুহকে স্বল্পসুদে ঋন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান পিকেএসএফ এ ও আবেদন করে ঋন সহায়তা প্রাপ্তির সুযোগ ঘটেনি (পার্টনার বৃদ্ধি বন্ধ থাকার জন্য)। অপর দিকে সংস্থার ঋন কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য ঋন পরিচালনা নীতিমালা, দক্ষ কর্মীবৃন্ধ, কর্ম এলাকায় ঋনের প্রবল চাহিদা এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের আগ্রহ বিরাজমান। তহবিল যোগানের সুযোগ পেলে এওয়ার্ড ঋন কর্মসুচীর মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য বদ্ধপরিকর।

২০১৬ সালে খাতওয়ারী ঋণ বিতরণঃ-

খাত ঋণ গ্রহীতার সংখ্যা টাকার পরিমান ঋণের মেয়াদ
সাধারণ ২৬৭ ৩১৯৯০০০.০০ ১ বছর
উদ্ধোক্তা ৩৭ ২৬১৫০০০.০০ ১ বছর
কৃষি ১৪৬ ২০৬১০০০.০০ ১ বছর
মোট ৪৫০ ৭৮৭৫০০০.০০

০১ (ঙ) আদিবাসী মহিলা (মনিপুরী ও চা শ্রমিক) উন্নয়ন কর্মসূচী ঃ-
এওয়ার্ড এর কর্ম এলাকায় অতিশয় পিছিয়ে পড়া মনিপুরী ও চা শ্রমিক আদিবাসীদের বসবাস রয়েছে। আদিবাসীদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে সংস্থা প্রতিশ্রুতিশীল। তৃণমূল জনসংগঠন উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় এওয়ার্ড এর কর্ম এলাকা বিজয় পাড়–য়া প্রকাশিত মাঝের গাঁও, কালাইরাগ এবং নাজিরের গাঁও গ্রামে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের সাথে আদিবাসী মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচী ১৯৯৮ইং আগষ্ট মাস থেকে চলমান।
সংস্থার আর্থিক সল্পতার জন্য আদিবাসি মনিপুরী সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ কোন কর্মসূচী গ্রহন করা সম্ভব হয়নি।

০১ (চ) প্রতিবন্ধী উন্নয়ন কর্মসূচী ঃ
২০০২ ইংরেজীর মাঝা-মাঝি সময় থেকে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করার জন্য প্রস্তুতি শুরু করা হয়। কিন্তু এযাবৎ কাল পর্যন্ত দাতা সংস্থা থেকে আর্থিক অনুদান সংগ্রহ করতে না পারায় শুধুমাত্র মটিভেশন্যাল কাজই পরিচালনা করা হচ্ছে। এওয়ার্ড কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য যখন খানা সার্ভে করা হয় তখন প্রতিয়মান হয় যে, প্রতি পাড়ায় পাড়ায় ২/৩ জন অথবা কোথাও কোথাও তার অধিক সংখ্যক প্রতিবন্ধী রয়েছে। অবশ্য প্রতিবন্ধীর ধরণ কিছুটা আলাদা আলাদা। মানবতাবোধ ও সেবামূলক উপলব্ধি থেকে এ কাজ সংস্থার নিজস্ব তহবিল দিয়ে পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছিল এবং এখন ও তা অব্যাহত আছে।এখানে উল্লেখ্য এওয়ার্ড পরিচালিত ৫০টি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাকেন্দ্রের প্রতিটিতে কমপক্ষে এক বা একাধিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০১৭ সালের জন্য জাতীয় প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন অনুদান প্রদানের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব আহবান করেছে। প্রকল্প প্রস্তাব জমাদানের জন্য সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ইতিমধ্যে গ্রহন করাহয়েছে।

০১ (ছ)ওয়াটসান কর্মসূচী ঃ
সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সমন্নিত উন্নয়ন প্রচেষ্টা। এওয়ার্ড তার সীমিত সম্পদ ও লোকবলের মাধ্যমে কর্ম এলাকায় এরূপ একটি সমন্নিত উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তাই কর্ম এলাকায় নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্য সম্মত পয়ঃপ্রণালী প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করে। সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনা সৃষ্টির মাধ্যমেই এ কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়ন সম্ভব বলে এওয়ার্ড বিশ্বাস করে।
এ পর্যন্ত কর্ম এলাকায় শতাধিক ইসু্যু ভিত্তিক সভার মাধ্যমে মানুষের মাঝে নিরাপদ পানি কিভাবে পাওয়া যায় এবং কিভাবে সল্প-ব্যয়ে স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা তৈরী করা যায় এমন সচেতনতা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।
উক্ত কর্মসূচীর আওতায় সংস্থার একজন কর্মীকে প্রশিক্ষণ প্রদান এর মাধ্যমে কর্ম এলাকা স্থাপিত নলকূপ সমূহের আর্সেনিক পরীক্ষা করার কাজ করা হয়েছে। বিগত বছরপর্যন্ত ২৭৭টি নলকূপ এ আর্সেনিক পরীক্ষা সম্পাদন করা হয়েছে। এ এলাকার নলকূপের পানিতে আর্সেনিক নেই অথবা এর হার খুবই নগন্য যাহা সহনীয় মাত্রার মধ্যে। এছাড়াও বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করতঃ প্রতিটি দলীয় সভায় এ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

০১ (জ) বসতবাড়ীর আঙ্গিনায় নিবিড় সবজি চাষ প্রকল্প ঃ
২০১৪ সালের মার্চ মাস হতে বসতবাড়ীর আঙ্গিনায় নিবিড় সবজি চাষ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় ৯০ জন মহিলাকে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে ৯০টি প্রদর্শনী সবজিবাগান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
এই প্রকল্প সম্পাদনের জন্য মোট ৪৫০০০০ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়।

০২) শিক্ষাকর্মসূচী ঃ-
সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্নিত করার ক্ষেত্রে শিক্ষা অপরিহার্য। জনসাধারণ শিক্ষিত হলে তাদের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত করা সম্ভব। এওয়ার্ড পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক পরিবর্তনের লক্ষে যে সকল কর্মসূচী বাস্তবায়নে আগ্রহী তার মধ্যে শিক্ষা অন্যতম।

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম ঃ
ব্র্যাকের আর্থিক ও কারিগরী সহযোগিতায় ২০০০ সাল হতে সংস্থার কর্ম এলাকা কোম্পানীগজ্ঞ উপজেলার পাড়–য়া ইউনিট অফিসের মাধ্যমে উক্ত কর্মসূচী বাস্তবায়ন শুরুহয়। কর্মসূচীর সফলতা বিবেচনা করে ব্র্যাক এ পর্যন্ত আর্থিক অনুদান অব্যাহত রেখেছে। প্রথম বারের মত ২০১৪ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় এওয়র্ড পরিচালিত স্কুলের শতভাগ(১০০%) শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছিল এবং ২০১৫ সালে ২০টি ও ২০১৬ সালে ১০টি স্কুলের শিক্ষার্থীরাও সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে এবং শতভাগ(১০০%) শিক্ষার্থি কৃতকার্য হয়। এখানে উল্লেখ্য ২০১৬ সালে সহযোগি সংস্থা ব্র্যাক প্রথম বারের মত উপকরণ ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে শিশু শ্রেণীতে মাসিক ৬০.০০ টাকা ও প্রথম শ্রেণীথেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মাসিক ৭০.০০টাকা করে উপকরণ ফি আদায় করার নিয়ম চালু করে। বর্তমানে ৫০টি শিক্ষাকেন্দ্র চালু রয়েছে এবং এই সকল কেন্দ্রের মাধ্রমে ১৫০০ জন শিক্ষার্থিকে প্রাথমিক শিক্ষাদান করা হচ্ছে। এ প্রকল্পে ৮থেকে ১১ বছর বয়সের ভিবিন্ন সময়ের ঝরে পড়া অথবা কোন সময়ই বিদ্যালয়ে যায়নি এমন শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি শিক্ষাকেন্দ্রে ৩০ জন শিক্ষর্থী নিয়ে একজন শিক্ষক এক নাগাড়ে ৪ বছর পাঠ দান করে থাকেন। এখানে উল্লেখ্য ২০১২ সাল থেকে পঞম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের এ সম¯ত শিক্ষাকেন্দ্রে বাংলা, অংক, সমাজবিজ্ঞান, পরিবেশ পরিচিতি, ইংরেজী ইত্যাদি বিষয়ে হাতে কলমে শিক্ষাদান করা হয়। এ ছাড়া স্কুলের প্রতি শিক্ষার্থিদের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য সহশিক্ষা পাঠক্রম ও নিয়মিত পরিচালিত হয় বলে শিক্ষার্থীরা বিশেষ কারণ ছাড়া স্কুল কামাই করেনা। এখানে উল্লেখ্য ২০১৬ সালে ব্র্যাকের আর্থিীক ও কারিগরী সহায়তায় ১৫টি প্রাক প্রাথমিক স্কুল চালু করা হয়েছিল। ঐ সকল স্কুলে উপকরণ ফি বাবদ মাসিক ৬০.০০ টাকা আদায় করার কথা ছিল এবং এওয়ার্ড অনেক কষ্টের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সফলতার সাথে ঐ সকল স্কুলের এক বছর মেয়াদী কোর্স সম্পাদন করেছে। আগামী বছরে অনুরূপ স্কুল খোলার পরিকল্পনা নেই। ২০১৭ সালে ব্র্যাকের নিয়মানুযয়ী ২০০.০০ টাকা উপকরন ফি আদায় করার শর্তসাপেক্ষে ১৫টি প্রথম শ্রেনীর স্কুল খোলার সকল প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করা হয়েছে।

উচ্চতর শিক্ষা গ্রহনের জন্য সকল শিক্ষার্থী ও তাদের অভিবাবকদেরকে আগ্রহী করার পরও যারা নানাবিধ করনে শিক্ষা জীবন এ পর্যায়েই সমাপ্ত করে, তরাও এওয়ার্ড কর্তৃক প্রদত্ব প্রাইমারী স্কুল সমাপনীর শিক্ষাটুকুকে সম্বল করে কর্মজীবনে এক জন সক্ষম ব্যক্তি হিসাবে তার জীবন যাপন করতে সক্ষম হবে বলে আমরা আশা করতে পারি । ইহাই আমাদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাকার্যক্রমের সার্থকতা।

০৩) স্বাস্থ্যকর্মসূচী ঃ-
সবার জন্য স্বাস্থ্য এ শ্লোগানকে সামনে রেখে এওয়ার্ড তার সীমিত সম্পদ দ্বারা প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা পরিবার পরিকল্পনা, এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রকল্পটি ১৯৯৮ ইংরেজীতে চালু করে। ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রায় এক হাজার পরিবারের মধ্যে উল্লেখিত স্বাস্থ্য সেবাসমূহের উপর সচেতনতা মূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আগামীতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মী দ্বারা স্বতন্ত্র ভাবে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা কর্মসূচী বাস্তবায়নের পরিখল্পনা রয়েছে।

4. Education on online communication development in rural College / School students including teachers.

এওয়ার্ড এর এই প্রকল্পটি দাতা সংস্থাঃ WISHNCLICK. UK.   এর আর্থীক সহযোগিতায় সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৬ টি স্কুল এন্ড কলেজে বাস্তবায়ন করা হয়। প্রকল্পটির মেয়াদকাল ছিল এপ্রিল / ২০১৫ হতে মার্চ ২০১৬ পর্যন্ত ।

প্রকল্পটির পঠভুমিঃ
এওয়ার্ড ১৯৯৮ইং সাল থেকে সিলেট জেলার কোম্পনীগঞ্জ উপজেলায় একটি স্থানীয় সেচ্ছাসেবী সংস্থা হিসেবে কাজ শুরু করে। তখন ঐ উপজেলায় কোন জাতীয় অথবা স্থানীয় এনজি কর্মরত ছিল না। তৃনমূল জনসংগঠন তৈরী করে দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষার প্রসার ও নারীর ক্ষমতায়নের উপর দেশীয় দাতা সংস্থার আর্থিক ও কারীগরি সহায়তায় নানাবিধ উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বর্তমান সরকার বাংলাদেশ কে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ঘোষনার পর থেকে আমরাও অত্র কর্ম এলাকায় এ ব্যপারে সহযোগীতামূলক কাজ করার উদ্যোগ গ্রহন করি। সার্বিক উন্নয়নের পথে জনসাধারন কে ব্যগবান করার লক্ষ্য নিয়েই আধুনিক সমাজে বসবাস উপযোগী করার জন্য ২০১৪ সালে দলীয় সদস্যদের নিয়ে উঠান বৈঠক, দলীয় সাপ্তাহিক সভা এবং ইস্যু ভিত্তিক মাসিক গ্রাম সভায় বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করে ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকৃয়ার সাথে সম্পৃক্ত হয়ার উদ্যোগ গৃহীত হয়। এ লক্ষ্য পুরনের জন্য প্রথমেই কম্পিউটার ব্যবহারের শিক্ষা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। গ্রামীন সভায় প্রশ্ন আসে এ শিক্ষা কাদেরকে দেয়া হবে বা কারা এ শিক্ষা গ্রহন করতে পারবে? তখন সমাজের কতিপয় শিক্ষিত সূধীজন এবং খানিক অগ্রসর লোকজন স্কুল/ কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের কে কম্পিটারের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা প্রদানে সিদ্ধান্ত হয়। অতপর ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি ঐ সকল স্কুল কলেজের কিছু সংখ্যক শিক্ষককেও এ শিক্ষায় শিক্ষিত করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। কেননা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণ গ্রহনের পর তা ধরে রাখতে হলে অভিভাবক প্রয়োজন। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সরকার কতিপয় স্কুল-কলেজে একটিকরে কম্পিটার প্রদানের আশ্বাস প্রদান করে। এওয়ার্ড এই সুযোগ কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়।

প্রকল্পটির যৌক্তিকতা
অন লাইন শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ এখন অজপাড়া গায়ের একটি ইউনিয়নে সরকারী ভাবে প্রদত্ত এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কাজের সন্ধান, বিদেশে চাকুরীর আবেদন, বিভিন্ন ফরম পুরন সহ নানা বিধ উন্নয় কর্ম কান্ডে অংগ্রহন করতে পারছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মত একটি পশ্চাৎপদ উপজেলায় যদি কতিপয় ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষককে এই প্রশিক্ষণ দেয়া যায় তাহলে তারা পুরো সমাজের সাধারন মানুষকে এ ক্ষেত্রে উল্লেখ যোগ্য সহযোগীতা করতে পারবে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে এ প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ন ভ’মিকা রাখতে পারবে বলে আমাদের ধারনা।

উদ্দেশ্যসমূহ ঃ
অন লাইনে শিক্ষা গ্রহনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবেশ নিশ্চিত করনের পাশাপাশি অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার কারীগন তাদের অধিকার ও নানামূখী তথ্য সংগ্রহ করবে। এবং সমাজের সাধারন মানুষের মাঝে তা ছড়িয়ে দিয়ে উন্নয়নের পথ সুগম করতে সাহায্য করতে পারবে। শিক্ষার্থীগণ অনলাইনের মাধ্যমে উন্নতমানের জ্ঞান অর্জন করে প্রকৃত জ্ঞানী ও গুনি হয়ে সমাজের নানাবিধ উন্নয়মূখী কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করতে পারবে।

সম্পাদি কার্যক্রমের বর্ননাঃ
নির্বাচিত স্কুল/ কলেজের নামঃ
ক্রমিক নং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্টেশন গ্রহকারীর সংখ্যা মোট ছাত্র ছত্রী শিক্ষক
০১ কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর উচ্চবিদ্যালয় ২৮ ৩৮ ০৭ ৭৩
০২ শহীদ স্মৃতি টুকের বাজার উচ্চবিদ্যালয় ২০ ২০ ০৫ ৪৫
০৩ ছনবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় ২৮ ৪০ ০৪ ৭২
০৪ পাড়–য়া আনোয়ারা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ ২০ ৫৭ ০৯ ৮৬
০৫ রনিখাই হুমায়ূন রশিদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় ৫২ ৬৪ ০৮ ১২৪
০৬ ভাটারাই উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ ৫০ ৭৭ ০২ ১২৯
মোট ১৯৮ ২৯৬ ৩৬ ৫২৯

ক্রমিক সংখ্যা অর্জিত ফলাফল
১ একটি পশ্চাৎপদ উপজেলার শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্পিটারের মাধ্যমে অনলাইন ব্যবহার করার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

২ কোম্পানীগনজ উপজেলার মত একটি স্বল্প শিক্ষিত এলাকার শিক্ষার্থীরা অন লাইনের মাধ্যমে শিক্ষা অর্জনের নানা মূখী সুবিধা গ্রহন করবে
৩ পাড়াগাঁয়ের কতিপয় শিক্ষক অন লাইন সমন্ধে সম্যক ধারণা পেয়েছেন এবং নিজেরা তা প্রয়োগ করবেন এবং তাদের দেখাদেখি অন্যান্য শিক্ষকগন ও এ ব্যাপারে আগ্রহী হবেন।
৪ পশ্চাদপদ কোম্পানীগজ্ঞ উপজেলার অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে অনলাইনে শিক্ষা অর্জনের সাড়া জেগেছে। আশাকরা যায় এই মহতি উদ্যোগ শিক্ষা অঙ্গনে মানসম্পন্ন শিক্ষা চর্চার একটি ভাল ক্ষেত্র তৈরী করতে পেরেছে। যা আগামীতে আরোও সম্প্রসারণ হবে।
৫ বর্তমান সরকারের মাধ্যমে গৃহীত রূপকল্প – ২০২১ বাস্তবায়নের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

০৫) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিবাবকদের চক্ষু পরীক্ষা এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান প্রকল্প ঃ
এওয়ার্ড এর এই প্রকল্পটি দাতা সংস্থাঃ বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন – বিএনএফ এর আর্থীক সহযোগিতায় সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ১৫ টি এওয়ার্ড পরিচালিত প্রথমিক বিদ্যালয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটির মেয়াদকাল জুন ২০১৬ হতে মে ২০১৭ পর্যন্ত ।

প্রকল্পটির প্রাসঙ্গিক কথাঃ
এওয়ার্ড কর্তৃক উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষ্কা কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে প্রায়সই শিক্ষিকা এবং কর্মসুচী সংগঠকদের নিকট থেকে অভিযোগ আসে যে, স্কুল সমুহে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের কতিপয় শিক্ষার্থী ব্লাকবের্ডে যখন শিক্ষিকা লিখার মাধ্যমে কোন বিষয়ে শিক্ষাদানের কাজ করেন তখন কিছু সংখ্যক শিক্ষর্থী যথাযত ভাবে মনোনিবেশ করেনা। বিষয়টি অবগত হয়ার পর আমার (নির্বাহী পরিচালক) মনে প্রশ্ন জাগে এর কারণ নিয়ে। একপর্যায়ে সন্ধেহ জাগে হয়তো শিক্ষিকা মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে অপারগ অথবা ছেলে মেয়েরা ব্লাকবের্ডের লিখা দেখতে পারেনা। এই চিন্তা থেকেই উক্ত কর্মসুচীর সূত্রপাত।

এ রখম পরিস্থিতিতেই বিএনএফ এ প্রকল্প প্রস্তাবনা দাখিলের সময় হয়। তখন আমরা শিক্ষার্থ দের চক্ষু পরিক্ষা বা স্কেনিং করানোর জন্য প্রকল্প প্রস্তাব জমা দিতে যাই। দাতা সংস্থা বিএনএফ এর সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব এ এফ এম ইয়াহিয়া চৌধুরীর গোচরিভুত হলে তিনি প্রকল্প প্রস্তাবটিকে ইনোভেটিব আখ্যায়িত করে শিক্ষার্থীদের দরিদ্র অভিবাবকদেরকে ও সংযুক্ত করার পরামর্শ প্রদান করেন।

প্রকল্পটির মৌলিক কাজঃ
# স্কুল ও গ্রাম সার্ভে
# শিক্ষিকা, অভিবাক এবং স্কুল কমিটি গুলোকে প্রকল্পের সাথে সম্পৃপ্ত করা
# চক্ষু বিশেষজ্ঞ টিম নির্বচন এবং
# চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্টান।

প্রকল্পের অগ্রগতিঃ
প্রকল্পটির কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার শুরুতেই মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হয়, আমাদের ধারনাছিল কোম্পানীগজ্ঞ উপজেলা হেল্থ কম্পেসে চক্ষু বিশেষজ্ঞ কোননা কোন ডাক্তার পাওয়া যাবে। কিন্তু বাস্তবে এমন এক পরিস্থিতিতে পড়াগেল যে, উপজেলা হেল্থ কম্পেসে কোন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পাওয়াগেল না উপরন্ত পুরো উপজেলার কোথাও কোন প্রাইভেট চক্ষু চিকিৎসক ও পাওয়া গেলনা। এমতাবস্থায় সিলেট জেলা শহর থেকেই ডাক্তার নিয়ে ক্যাম্প পরিচালনার বাধ্যতামুলক সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। সিলেট শহরেও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় যেতে সম্মত এমন ডাক্তার পেতে খোজে বের করা কঠিন হয়ে পড়ে। টাকা পয়সা কোন সমস্যা নয় বরং যাতায়াতের রাস্থার সমস্যাই প্রধান। যাইহোক, সবশেষে মানবিক কারনে কাজী দিদার এ মোস্তফা চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন যেতে রাজী হলেন।
প্রেিবদন কাল পর্যন্ত ২টি ক্যাম্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পরিচালিত এ ক্যাম্প গুলোর মাধ্যমে প্রায় ১২০ জন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিবাবকদের চক্ষু পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। পরিচালিত এ ক্যাম্প গুলোর মাধ্যমে ১৫ জন শিক্ষার্থী ও ৫ জন অভিবাবকের গুরুতর সমস্যা ধরা পড়ায় তাদেরকে সিলেট এনে কম্পিউটারের মাধ্যমে চক্ষু পুনরায় পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে এবং ১ জন মহিলার চোখের ছানী অপারেশন ও প্রয়োজনীয় ঔষধ পত্র প্রদান করা হয়েছে। এ কর্মসুচীটি কর্মএলাকায় ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি ও সংস্থার গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি করেছে। আমরা শতভাগ আশাবাদি ২০১৭ সালের প্রকল্পের মেয়াদকালীন সময়ের মধ্যে অসম্পুর্ন সকল কাজ সম্মন্ন করতে পারব।

০৬) Empowering Communities through Business for Peace

এই প্রকল্পটি SAFERWORLD,U.K. নামক দাতা সংস্থার আর্থীক ও কারীগরি সহায়তায় ২০১৬ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। একশন রিসার্স মূলক এই প্রকল্পটি ২০১৮ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত চলার কথা। দাতা সংস্থার বাংলাদেশ অফিস থেকে পরীক্ষা মূলক এ প্রকল্পটি এক যোগে সিলেট সিটি কর্পোরেশন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও সুনামগজ্ঞ পৌরসভায় পরিচালিত হচ্ছে। ইভেন্ট কষ্ট পদ্দতির মাধ্যমে প্রকল্পের ব্যয় নির্বাহ করা হয়।

প্রকল্পের উদ্দেশ্যঃ
বাংলাদেশে বিগত দিনে বিরাজিত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার কারণে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে গেছে। যা পক্ষান্তরে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে সাধারণ জনগনের জীবন জীবিকার মান নি¤œগামী করে তোলেছে। দৃশ্যত চলমান এ সকল অস্থিরতা, দ্বন্দ ও সংঘাত বিশেষ করে ব্যবসায়ী, নারী, যুবক ও পশ্চাৎপদ সংখ্যালগু নৃতাত্বিক জনগোষ্টির উপর কি ধরনের প্রভাব বিস্তার করছে তা নির্ধারণ করা । এবং এ সকল অস্থিরতা, দ্বন্দ ও সংঘাত এর মৌলিক কারণ চিহ্নিত করে এহেন পরিস্থিতির কোন প্রতিকারের ব্যবস্থা করা যায়কি না তা খোজে বের করা। একই সাথে এ সকল দ্বন্দ বা সংঘাত নিরসনে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে শান্তির দূত হিসাবে কাজে লাগানো যায় কি না এবং কি ভাবে তার পস্তাবনা তৈরী করা।

কাজের পদ্ধতিঃ
# চলমান সমাজের সকল স্টেকহোল্ডার এর নুন্যতম ২/৩ জন প্রতিনিধি সমন্বয়ে ১০ থেকে ১২জন করে এক একটি এফজিডি সভা অনুষ্টিত করা।
# কি ইনফরমেন্ট ইন্টারভিউ ( যারা এফজিডিতে স্ব স্ব ব্যস্থতার জন্য সময় দিতে অপারগ কিন্তু বিষয়ের উপর ফলপ্রসু মতামত দিতে সক্ষম) গ্রহন করা।
# এফজিডি সভায় অংশ গ্রহন কারী সকল ষ্টেকহোল্ডার প্রতিনিধিদের মতামত গুরুত্তের সাথে বিবেচনা করে যথাযথ ভাবে লিপিবদ্ধ করা।
# প্রতিটি এফজিডি সভার অংশ গ্রহন কারীদের মধ্যথেকে ২ জন করে প্রতিণিধি নির্বাচন করতঃ ১টি ভেলিডেশন সভার মাধ্যমে প্রাপ্ত মতামত সমুহকে পুনর্বিবেচনা করে একটি পুর্নাঙ্গ প্রস্তাবনা তৈরী করা।
# দাতা সংস্থা কর্তৃক এফজিডি ও কে আই আইতে প্রাপ্ত মতামত সমুহকে বিজ্ঞ রিসার্সারের মাধ্যমে দ্বন্ধ – সংঘাতের মূল কারণ গুলো চিহ্নি করে একটি পেপার তৈরী করা এবং সাথে সাথে ঐ সকল কারণ সমুহের নিরশন / উপশম করার প্রস্তাবনাগুলো ও বিবেচনায় নিয়ে আসা।
# ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে কর্মএলাকায় ১টি করে পিস কমিটি স্থাপন করা।
# এক একটি বিভাগীয় সভার (বাংলাদেশে পাইলট আকারে পরিচালিত ৩টি কর্ম এলাকায়) মাধ্যমে সমাজের বৃহত্তর পরিসরে প্রাপ্ত তথ্য – উপাত্ত সমুহ জানান দেয়া। এবং সকল ষ্টেকহোল্ডার এর সক্রিয় অংশ গ্রহন ও সহযোগিতায় সমাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।

FGD/ KII এর প্রশ্নসমূহঃ
১। দ্বন্দের/সংঘর্ষের প্রধান কারণগুলো কি কি এবং কিভাবে এর দ্বারা ব্যবসায়ীরা প্রভাবিত হচ্ছে ?
২। এই কারণগুলো থেকে উত্তোরণের জন্য ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক, স্থানীয় সরকার, সুশীল সমাজ ও কম্যুনিটির প্রতিনিধি নিয়ে কোন সমন্বিত উদ্দ্যেগ গ্রহণে নজীর আছে কি না ?
৩। এই ধরণের উদ্দ্যোগ কে নেতিবাচক / ইতিবাচক সহযোগিতা করছে বা নিজ অবস্থান থেকে কে / কারা ভুমিকা পালন করে।
৪। এই ধরনের দ্বন্দ / সংঘাতমূলক পরিস্থিতি নারী, পুরুষ, পশ্চাৎপদ জনগোষ্টি ও যুবকদের উপর কি ধরণের প্রভাব বিস্তার করে ?
৫। দ্বন্দ বিশ্লেষণে প্রাপ্ত স্থানীয় দ্বন্দের কারণসমূহ প্রতিহত করার ইচ্ছামূলক সম্মিলিত উদ্দ্যেগের আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে কিনা ? যদি পেয়ে থাকে কিভাবে ?
৬। উপরোক্ত বিশ্লেষণের আলোকে ব্যবসায়ীদের মাঝে বিরাজমান সম্ভাবনাকে কি ধরণের সক্ষমতার মাধ্যমে শান্তি মূলক পরিবর্তনে দূত হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

প্রকল্পের অগ্রগতিঃ
এ পর্যন্ত ৫টি এফজিডি ও ১টি ভেলিডেশন সভা ( প্রত্যেক এফজিডির ২ জন করে করে প্রতিনিধি নিয়ে) অনুষ্টিত হয়েছে ।
এফজিডিতে মোট অংশগ্রহনকারী ছিলেন ৫৬ জন। এবং কে আই আই গ্রহন করা হয়েছে প্রেসিডেন্ট চেম্বার অফ কমার্স, বি এনপির জেলশাখার সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সাংসদ সৈয়দা যেবুন্নেছা হক, এডিসি (সাধারণ), এ এসপি ও জামাতে ইসলাম জেলা আমির।
এ ছাড়াও দাতা সংস্থার আয়োজনে একটি জাতীয় মতবিনীময় সভা এবং দাতা সংস্থার ইউ কে প্রতিণিধির উপস্থিতিতে একটি কর্মশালা অনুষ্টিত হয়েছে যেখানে প্রতিপি পার্টনার এনজিও থেকে ৩ জন করে প্রতিনি উপস্থিত ছিলেন। ২০১৭ সালে ও অনুরূপ কর্মসুচী বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। এখানে উল্লেখ্য এওয়ার্ড সকল নির্ধারি কর্মকা- ষফলতার সাথে সম্পাদন করতে সক্ষম হয়েছে।

কর্মী সংক্রান্ত তথ্যঃ

ক্রমিক নং প্রকল্পের নাম কমী সংখ্যা মোট পুরুষ মহিলা
১ উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রকল্প ৫ ৪০ ৪৫
২ এওয়ার্ড মাইক্রোক্রেডিট প্রকল্প ৪ ২ ৬
৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিবাবকদের চক্ষু পরীক্ষা এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান প্রকল্প ১ ০ ১
৪ ঊসঢ়ড়বিৎরহম ঈড়সসঁহরঃরবং ঃযৎড়ঁময ইঁংরহবংং ভড়ৎ চবধপব ১ ০ ১
৫ প্রধান কার্যালয় ২ ১ ৩
৬ স্বেচ্ছাসেবী ৭ ৫ ১২

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবশ পালনঃ
এওয়ার্ড প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে নি¤œ বর্ণিত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক দিবস সমূহ পালন করে আসছে। ইহা অত্র সংস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হিসাবে বিবেচিত হয়।
১। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
২। আন্তর্জাতিক নারী দিবস
৩। জাতীয় শিশূ দিবস
৪। স্বাধীনতা দিবস
৫। বাংলা নববর্ষ
৬। মে দিবস
৭। আর্ন্তজাতিক স্বাক্ষরতা দিবস
৮। জাতীয় বিজয় দিবস ইত্যাদি।

সংস্থার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ

ক্স উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রকল্প ঃ
২০০০ ইংরেজি থেকে ব্রাক এর সহযোগীতায় ৫ টি স্কুল পরিচালনার মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচির শুভ সুচনা। কাল প্রবাহে কর্মসূচির সফলতার উপর ভিত্তি করে ক্রমান্নয়ে ৫টি থেকে ৫০ টি স্কুল একই সাথে পরিচালনা করা হয়েছে। জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ব্য্রাক পূর্বের ন্যায় আর্থিক সহযোগীতা অব্যাহত রাখতে না পারায় শিক্ষার্থীদের নিকট হতে উপকরণ ফি ও সংস্থার কন্ট্রিবিউশন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এমতাবস্থায় সিলেটের অনেক সংগঠনই আর্থিক যোগানের মাধ্যমে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সম্ভব নহে বলে বিবেচনা করছেন। এওয়ার্ড এহেন অবস্থায় আর্থিক যোগানের মাধ্যমে ও ২০১৭ সালে ১৫ টি স্কুল পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে এবং আগামী বছর গুলোতে আর্থিক যোগান দিয়ে প্রয়োজনে আরো অধিক সংখ্যক স্কুল পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।

ক্স এওয়ার্ড মাইক্রোক্রেডিট প্রকল্পঃ
অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সুদীর্ঘ ৬ বছরের অব্যাহত যোগাযোগের মাধ্যমে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটির সনদ প্রাপ্তি ঘঠেছে। কিন্তু ঋন কার্যক্রম পরিচালনা কারী উন্নয়ন সংস্থাসমুহকে স্বল্প সুদে ঋন প্রদান কারী সংস্থা পিকেএসএফ এর পার্টনার হওয়ার সুযোগ উক্ত সনদ প্রাপ্তির পূর্বেই রহিত হয়েছে। ফল¯্রুতিতে সংস্থার ঘূর্ণয়মান ঋণ তহবিলে প্রয়োজনীয় অর্থ যোগান সম্ভব না হওয়ায় এ কর্মসূচিকে যথাযথভাবে বেগবান করা সম্ভব হয়নি। অত্যান্ত কৃচ্চতার সাথে প্রকল্পটির ব্যায় নির্বাহ করার মাধ্যমে প্রকল্পটিকে চলমান রাখা সম্ভব হয়েছে। আগামীতে কার্যনির্বাহী পরিষদের সার্বিক সহযোগীতায় এ প্রকল্পটিতে আর্থিক যোগানদেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

এছাড়াও চলমান প্রকল্প সমূহ যথাযথভাবে পরিকল্পনানুযায়ী বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

২০১৬ সালে প্রস্তাবিত প্রকল্প “বয়ষ্ক শিক্ষা কার্যক্রম” (বিএলপি) ও মাতৃত্বকালীন ভাতা এবং প্রতিবন্ধি উন্নয়ন নামক প্রস্তাবিত প্রকল্প সমূহ ২০১৭ সালে প্রাপ্তির জোর সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির উপর বিভিন্ন দাতা সংস্থার নিকট প্রকল্প প্রস্তাব দাখিল করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা আশা করি নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সংস্থায় কর্মরত সৎ, নিষ্ঠাবান এবং পরিশ্রমী কর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতায় যুগপোযোগী উদ্যোগের মাধ্যমে সংস্থাকে আরো বৃহৎ আঙ্গিকে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সংযুক্ত করা সম্ভব হবে।

সমাপ্ত